জানি আমি সব’ই
এস. এম. সোহাগ
জানি আমি সব’ই, জানার বাদ নাই কোন কিছু,
বলতে পারিনা মুখে, লোক ছাড়েনা তো পিছু।
বলি আমি যা সবিনাকি ভুল, বলে মূর্খের দল-
তাইতো দেশের এই দূর্দশা, সবই পাপের ফল।
জানি আমি সব’ই।
বসন্তে ফোটে ফুল, বর্ষায় ঝড়ে বৃষ্টি,
শীতে কুয়াশা, খেজুরের রসে মিঠের সৃষ্টি।
জোয়ার এল ভড়ে নদী, খাল- ভাটায় শুকায় সবি,
সকালে রবি উদয় হয়, রাতের বেলায় শ্বশী।
জানি আমি সব’ই।
জিজ্ঞাশে মোরে- কিছু লোকে ধরে
কেন জোয়ার আসে নদীতে, ভাটা শেষের পড়ে-
কিভাবে চাদেঁর আলো ঝড়ে-ঝড়ে পড়ে, এই পৃথিবীর তরে।
প্রশ্ন শুনে, হাসি মনে-মনে- এসবও ওরা নাহি জানে,
বেঁচে আছে কেন! এ ধরার তরে- এমনো অজ্ঞানে।
সামান্য বিষয় তাওতো জানেনা, এমন বোকা মূর্খের দল,
তাইতো দেশের এই দূর্দশা, সবই পাপের ফল।
জানি আমি সব’ই।
আকাশে কেন বিদ্যুৎ চমকায়? কোথা থেকে মেঘ আসে?
কোন কিছু ছাড়া মহাশুণ্যে- কেমন করিয়া ভাশে।
সাগরের জল কেন লোনা হয়? নদীর জল মিষ্টি!
কিভাবে বলো জল রাশি থেকে- রংধনুর হয় সৃষ্টি।
জানি আম সব’ই।
সব কছিু শুনে, মাথা গুনেগুনে- জবাব দেয়া হলো শুরু,
আজকে তোদের বোঝাবই আমি, গুরুর উপর মহাগুরু।
জানি আমি সব’ই।
যেভাবে চলে আসছিল সবি, চলবেই জনবভর,
কিভাবে ভারিলে- নষ্ট করবো সময়, লইয়া এ সামান্য খবর।
জানি আমি সব’ই।