৮. হায় স্বাধীনতা

হায় স্বাধীনতা

এস. এম. সোহাগ

স্বাধীনতার ৪০ বছর গত হলো- আজো স্বাধীন হতে পারলোনা মানুষ,

সকল কাজেই চলে ধাপ্পাবাজি- করে দূর্নিতী খায় ঘুষ।

সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে- ছিনিমিনি খেলে কিছু লোক,

তারাই আবার বলে মিছিলে বা মিটিং-এ

বাংলাদেশের স্বাধনিতা, সফল হোক, সফল হোক।

শিক্ষা কিংবা চিকিৎসা নয়- সব কিছুতেই রাজনৈতিক তালে তাল,

বুদ্ধিজিবীরাও ভাবেনাতো কিছু- কাল কি হবে দেশের হাল।

পরীক্ষা হলে দূর্নিতী চলে- সহযোগিতায় শিক্ষক,

বাহিরে আবার মানব বন্ধন- নকল ঠেকাও বলে করে ভিক্ষোব।

স্বাধীন দেশের নারী রাস্তায় বা গাড়ীতে- নয় কেন নিরাপদ,

আইন আছে তবু বেড়ে চলে রোজ’ই- অন্যায় আর অপরাধ।

হাসপাতালের বেডে মরাটাকে বেধে রেখে-আদায় করে লক্ষ টাকা,

শিক্ষার গুনে ভড়ছে পকেট- বিবেকের কৌটা আজ ফাঁকা।

সড়ক কিংবা মহাসড়ক- যেন, মরনের কলকারখানা,

এখানে যে কতো দূর্নিতী চলে- সকলেরই আছে’তা জানা।

ক্ষমতা আর টাকার জোড়ে সবখানে জোটে কাজ,

সত্যিকারের মেধাবী যারা- ছেড়ে দিয়েছে হাল আজ।

ছাগল দিয়ে মাঠে হাল চাষ- হয়নিতো কোন দিন,

বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখ- কিভাবে মেটাবে তার ঋণ।

বাশের গোড়ায় বাশ জন্মায়- কচুর গোড়ায় কচু,

ঘুষ দিয়ে যারা চাকুরী পাবে- তারা ঘুষ ছাড়া খাবে কেন কিছু!

এমন স্বাধীনতা চেয়েছে কি তারা- যারা অকাতরে দিয়ে গেছে প্রাণ,

স্বাধীনতা আজ হাড়াতে বসেছে- মুক্তি যুদ্ধের সম্মান।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের দান- আমাদের এই স্বাধীনতা,

পায়নি অধিকার সাধারণ মানুষ- ঘোচেনী পারাধীনতা।

স্বাধীনতা মোরে দিয়েছে কি শুধু- মাটি আর একটি নিশান,

সে সব মানুষ কেঁদে ফেরে আজও- যারা বুকের পাজরে জ্বেলেছিল শ্বাশান।

স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ- বৈশম্য কেন তবে আজ?

পরিবর্তন নাই যদি হবে- তবে, দরকার ছিল’কি স্বাধীনতার!

বাঙ্গালী জাতী উচু করি শির- দাড়িয়েছে বিশ্বদরবার,

সেইখানে আজ, বাধা দেয়ার- নেই কারো অধিকার।

মাঝি শুধু একা ধরে আছে হাল- মাল্লারা নাই সাথে তার,

পৌছাবে কবে, বল মোরে তবে- লাগবে সময় কত আর?

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.