হায় স্বাধীনতা
এস. এম. সোহাগ
স্বাধীনতার ৪০ বছর গত হলো- আজো স্বাধীন হতে পারলোনা মানুষ,
সকল কাজেই চলে ধাপ্পাবাজি- করে দূর্নিতী খায় ঘুষ।
সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে- ছিনিমিনি খেলে কিছু লোক,
তারাই আবার বলে মিছিলে বা মিটিং-এ
বাংলাদেশের স্বাধনিতা, সফল হোক, সফল হোক।
শিক্ষা কিংবা চিকিৎসা নয়- সব কিছুতেই রাজনৈতিক তালে তাল,
বুদ্ধিজিবীরাও ভাবেনাতো কিছু- কাল কি হবে দেশের হাল।
পরীক্ষা হলে দূর্নিতী চলে- সহযোগিতায় শিক্ষক,
বাহিরে আবার মানব বন্ধন- নকল ঠেকাও বলে করে ভিক্ষোব।
স্বাধীন দেশের নারী রাস্তায় বা গাড়ীতে- নয় কেন নিরাপদ,
আইন আছে তবু বেড়ে চলে রোজ’ই- অন্যায় আর অপরাধ।
হাসপাতালের বেডে মরাটাকে বেধে রেখে-আদায় করে লক্ষ টাকা,
শিক্ষার গুনে ভড়ছে পকেট- বিবেকের কৌটা আজ ফাঁকা।
সড়ক কিংবা মহাসড়ক- যেন, মরনের কলকারখানা,
এখানে যে কতো দূর্নিতী চলে- সকলেরই আছে’তা জানা।
ক্ষমতা আর টাকার জোড়ে সবখানে জোটে কাজ,
সত্যিকারের মেধাবী যারা- ছেড়ে দিয়েছে হাল আজ।
ছাগল দিয়ে মাঠে হাল চাষ- হয়নিতো কোন দিন,
বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখ- কিভাবে মেটাবে তার ঋণ।
বাশের গোড়ায় বাশ জন্মায়- কচুর গোড়ায় কচু,
ঘুষ দিয়ে যারা চাকুরী পাবে- তারা ঘুষ ছাড়া খাবে কেন কিছু!
এমন স্বাধীনতা চেয়েছে কি তারা- যারা অকাতরে দিয়ে গেছে প্রাণ,
স্বাধীনতা আজ হাড়াতে বসেছে- মুক্তি যুদ্ধের সম্মান।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের দান- আমাদের এই স্বাধীনতা,
পায়নি অধিকার সাধারণ মানুষ- ঘোচেনী পারাধীনতা।
স্বাধীনতা মোরে দিয়েছে কি শুধু- মাটি আর একটি নিশান,
সে সব মানুষ কেঁদে ফেরে আজও- যারা বুকের পাজরে জ্বেলেছিল শ্বাশান।
স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ- বৈশম্য কেন তবে আজ?
পরিবর্তন নাই যদি হবে- তবে, দরকার ছিল’কি স্বাধীনতার!
বাঙ্গালী জাতী উচু করি শির- দাড়িয়েছে বিশ্বদরবার,
সেইখানে আজ, বাধা দেয়ার- নেই কারো অধিকার।
মাঝি শুধু একা ধরে আছে হাল- মাল্লারা নাই সাথে তার,
পৌছাবে কবে, বল মোরে তবে- লাগবে সময় কত আর?